প্রকৃতির শিক্ষা
-তালবিয়া তাসীন তকী
৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী, ঢাকা ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ
কি করবো! কি করবো!!
কিসে হব পাপী?
কিসে হব সুখী?
ভাবতে ভাবতে চলে যায় দিন,
তবুও ভেবেই যাই প্রতিদিন।
কেন যে তাকাই না প্রকৃতিতে!
খুঁজি না বিচিত্র আকৃতিকে।
জীবনে চলার কত শত উপায় –
নিহিত আছে এতে।
খুঁজে দেখতে দোষ কি তাতে?
যতই রাত আঁধারে ডুবে যাক,
সূর্য তো নিজ থেকে জ্বলে ওঠার প্রেরণা জাগাবেই।
রাতে যতই লাগুক ভয়,
ছোট্ট চাঁদটা যেন সাহসের কথা কয়।
সূর্য হোক যতই তেজি,
দিন শেষে কিন্তু তার ফিরতে হয় তার রোজই।
নতুন দিনের আলো দেখাতে,
জাগায় পাখি ঘুমের ঘোর হতে।
পিপীলিকারা শেখায় সমতা,
ভোলায় কাজের দুর্বলতা।
মনে করিয়ে দেয়, ”একতাই বল,
একতার পথে চল ”।
পাহাড় যেন দৃঢ় মনস্থির,
নড়বেই না থাকবে স্থির।
আকাশ বর্ষায় কাঁদলেও,
গ্রীষ্মে কিন্তু তার প্রখরতাও বেশ।
ক্যাঙ্গারু দেখায় সন্তানের প্রতি,
মায়ের কত ভালোবাসা! আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি।
ছোট্ট বীজটি জানায়,
তার বৃক্ষ হওয়ার রহস্য।
তাকিয়ে দেখি প্রকৃতির দৃশ্য,
কি নির্মল জীবন পঞ্জিকা!
কেন খুঁজে বেড়াই এত ঠিক-বেঠিক?
হয়ে যাই না, প্রকৃতির পথিক।
কেন জ্ঞান সীমা এমন নিঃস্ব?
খুঁজে বেড়াই প্রকৃতির রহস্য।
প্রকৃতিরেই উপাদানগুলোর স্থানে নিজেকে বসাই,
প্রকৃতির শিক্ষার্থী হয়ে যাই।
প্রকৃতিকে দেই শিক্ষকের আখ্যা।
প্রকৃতি থেকে নেই অমূল্য শিক্ষা।